বিশেষ প্রতিনিধি : নেপালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের হয়ে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে সুস্থ শরীরে দেশে ফিরেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ক্যাপ্টেন ড. মোঃ আশ্রাফুল করিম।
‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর’র (বিএনসিসি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল বাতেন খানের নেতৃত্বে এ সফরে যান তিনি। আশ্রাফুল করিম শিক্ষকতার পাশাপাশি বিএনসিসি’র ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
‘ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর নেপাল’ মোট ৮টি দেশের সামরিক বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ থেকে ৭ মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত টানা ১২ দিনব্যাপী ‘ইয়োথ একচেঞ্জ প্রোগ্রাম-২০১৯’র আয়োজন করে। বাংলাদেশ ও নেপালসহ ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ভূটান, মালদ্বীপ ও সিঙ্গাপুরের সামরিক বাহিনী এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন।
আশ্রাফুল করিম জানান, বাংলাদেশের হয়ে এই সফরে ব্রিগেডিয়ার ১ জন, কর্ণেল ১ জন, মেজর ১জন, নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন ১জন এবং বিএনসিসির ক্যাপ্টেন ১জন অংশগ্রহণ করেন। আর ২৫ হাজার বিএনসিসি ক্যাডেটদের মধ্য থেকে বাছাই করে ০৬ জন ছেলে ও ০৬ জন মেয়ে ক্যাডেট এই সফরে অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
তিনি আরো জানান, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি, প্রধানমন্ত্রী খাড়গা প্রসাদ শর্মা, উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সেনাপ্রধান পূর্ণা চন্দ্র থাপা অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ ও নৈশ্যভোজের আয়োজন করেন। তাছাড়া সার্ক সদর দপ্তরের মহাসচিব আমজাদ হোসাইন বি সিয়ালের সাথেও তাদের মতবিনিময় হয়। সার্ক এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কীভাবে সম্পর্কের উন্নতি করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয় মতবিনিময় সভায়।
সফরকালে অতিথিদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় নেপালের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শন করানো হয়।
আশ্রাফুল করিম জানান, নেপালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই আয়োজন অংশগ্রহণকারী ৮ দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী সামরিক অফিসারদের রাফটিং, রক ক্লাইম্বিং সহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং তরুণ প্রজন্মকে তা থেকে রক্ষার উপায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয় এই প্রোগ্রামে।
প্রসঙ্গত, ক্যাপ্টেন ড. মোঃ আশ্রাফুল করিম হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের দেওগাঁও ফকির বাড়ীর মৃত
আব্দুল হাফিজ ও জহুরা খাতুনের জ্যেষ্ঠ পুত্র। উনার দাম্পত্য জীবনের সঙ্গী স্ত্রী নাহিদা আক্তার সিলেট সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা।
ক্যাপ্টেন ড. মোঃ আশ্রাফুল করিম এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক।